আমেরিকার ওহাইও (Ohio) রাজ্যের সিটি কাউন্সিলে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণহত্যাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। এই প্রস্তাবে বক্তা নুপুর টন্ডন, পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের সহযোগী ইসলামপন্থীদের দ্বারা সংগঠিত এই গণহত্যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবী করেছেন। একইসঙ্গে তিনি উদ্ধৃত করেছেন যে, ১৯৭১ সালে ত্রিশ লক্ষ মানুষের হত্যাকারীরাই আজ পাকিস্তানের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রভাবের কেন্দ্রে বসে আছে।
বক্তা নুপুর টন্ডন তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী ইসলামপন্থীদের দ্বারা সংগঠিত ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর ওপরে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করে এই গণহত্যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান এবং মান্যতা দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত এই গণহত্যায়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী স্থানীয় ইসলামপন্থীরা মিলে প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা এবং ২ লক্ষ নারীকে ধর্ষণ করে।
এই হত্যা ও ধর্ষণের শিকার মানুষের বেশিরভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে উদ্বাস্তু হওয়া মানুষের পরিসংখ্যান দেখলে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা ও ধর্ষণের মূল হোতারাই বর্তমানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে আসীন।
অন্যদিকে, আমেরিকার ফ্লোরিডা রাজ্যের মায়ামির (Miami) পেমব্রুক পাইনসের সিটি কাউন্সিলে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্তমান নেতৃত্বকে দায়ী করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বক্তা রাম তিওয়ারি, কেন আমেরিকার এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত সেই বিষয়েও বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
একইসঙ্গে তিনি উদ্ধৃত করেছেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্তমানে নেতৃত্বে থাকা অনেক জেনারেল ও মেজর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা ও ধর্ষণে সরাসরি অংশ নিয়েছিল। এতো বড় একটি গণহত্যা ঘটে যাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত বিশ্বে এই গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি বলেও তিনি উদ্ধৃত করেন। আর তাই তিনি এই বিষয়ে আমেরিকার ভূমিকা নেওয়ার প্রসঙ্গের ওপর সরাসরি জোর দিয়েছে