১৯৪৬ এর ডিরেক্ট একশন ডে এবং ২০২১ তৃণমূলের খেলা হবে দিবস – ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি?
আমরা এ বছর ১৫ই আগষ্ট ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করলাম বেশ আড়ম্বরের সহিত৷ পরদিন ১৬ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকার খেলা হবে দিবস পালন করলো৷যদিও সে খেলা স্বাধীনতা দিবসের পূণ্য প্রভাতেই শুরু হয়ে গিয়েছিল৷যখন দেশবাসী সাজো সাজো রবে প্রস্তুতি নিচ্ছিল ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের দিনটিকে নতুন রূপে বরণের জন্য৷৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের কাক ভোরে পূর্ব মেদিনীপুরের মুরলিচক গ্রামে ঘটলো গণধর্ষনের মতো নারকীয় ঘটনা৷এক ষাটার্দ্ধ বৃদ্ধাকে গণধর্ষণ করে গা-ঢাকা দিল একদল দুস্কৃতী ৷গণধর্ষন কান্ডে অভিযোগ উঠলো শাসক দলের আশ্রিত দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷আবার ১৯৮০ সালে ১৬ই ,ইষ্টবেঙ্গল মোহন বাগানের ডার্বি ম্যাচে এক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েক জন ফুটবল প্রেমী মারা গিয়েছিল৷তারপর থেকে ১৬ই আগষ্ট দিনটি জাতীয় ফুটবল প্রেমী দিবস হিসেবে পালিত হয়৷তবে জাতীয় ক্রীড়া দিবস পালিত হয় ২৯ আগষ্ট হকির জাদুকর মেজর ধ্যানচাঁদের জন্মদিনটিতে ,ওনার সম্মানে ও স্মরণে৷এই ১৬ই আগষ্ট দিনটিকে “খেলা হবে দিবস” হিসেবে বেছে নেবার কারণে বিরধীতা করে রাজ্যের একমাত্র বিরধী দল বিজেপি৷কারণ ইতিহাস বলে অতীতে এই ১৬আগষ্ট দিনটিতে কলকাতার বুকে এক ভয়ঙ্কর খেলা হয়েছিল ৷যদিও সে অতীত আমাদের জানতে দেওয়া হয়নি৷আমেরিকান আবিস্কারক টমাস এডিসন বলেছেন ,” সমস্ত জিনিসের জানবার জন্য একটি নির্দষ্ট সময় আছে৷” যথার্থই বলেছেন, সময় কথা বলে,সময়ের তালে তাল মিলিয়ে আমরাও এক সময় জানলাম দেশের অনেক অজানা ইতিহাস৷
কোথায় যেন পড়েছিলাম “সত্য,সূর্যের মতো,কিছু সময়ের জন্য অস্ত যায় বটে কিন্তু চিরতরে হারিয়ে যায়না৷” সত্য কদাপি চাপা থাকেনা,আর ছাই ভশ্ম দিয়ে তো কিছুতেই না৷ ইতিহাসে এমন অনেক সত্য আড়াল করার বৃথা চেষ্টা হয়েছে৷পাঠ্য বইতে দেশের প্রকৃত বীরদের যোগ্য সম্মান না দিয়ে মহিমামন্ডিত করা হয়েছে একদল অত্যাচারী,লুটেরাদের ৷ইতিহাসের পাতা ভরিয়ে দিয়েছে বাবর, হুমাউন ,আকবরের মতো অত্যাচারী শাসকের ছেলে ভোলানো গল্প গাঁথায়৷কেউ কেউ আবার উত্তরীয় গলায় পেয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছেন শাসকের ইচ্ছায়৷আর এহেন দুষ্টগণের অভিলাশে
চাপা পড়ে গেছে “দ্যা গ্রেট ক্যালকাটা ক্লিনিংয়ের” মতো জলন্ত ইতিহাস৷বাঙালী হয়েও জানা হয়নি কলকাতার সেই ভয়ানক দাঙায় হিন্দু বাঙালীদের জীবন রক্ষার্থে এগিয়ে আসা বাঙালী বীর যুবক গোপাল মুখোপাধ্যায় ওরফে গোপাল পাঁঠার কথা৷গোপাল পাঁঠার জন্য সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা৷তার মূল্যায়ন করা তো দুরে থাক তার নামটি পর্যন্ত সম্মানের সহিত উচ্চারন করেনি পরবর্তি বাঙালী হিন্দু সমাজ!সুন্দরী তিলত্তমার বুকে কি ঘটে ছিল ১৬ই আগষ্ট? মুসলীম লীগ পাকিস্থানের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল৷সেই ধর্মঘট যে অশিনিসংকেত তা অনুমান করতে পেরেছিল জওহর লাল নেহুরু,গান্ধীজী ও সে সময়ের বামপন্থী নেতারা৷তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছা মূল্য না দিয়ে ১৯৪৬ সালে ১৬ই আগষ্ট জুম্মাবার “প্রত্যক্ষ সংগ্রামের বা সারা ভারত একশ্যান ডের,ডাক দিয়েছিল তৎকালীন মুসলীম লীগের সর্বচ্চ নেতা মহম্মদ আলি জিন্না৷সে সময় বাংলার প্রধান মন্ত্রী ছিলেন হোসেন শহিদ সুরাবর্দী৷দাঙার ভয়াবহ শুরুটা হয়েছিল ১৬ই আগষ্ট সকাল থেকে৷মনুমেন্টের সভায় মুসলিম নেতাদের ভাষন শোনার জন্য প্রায় এক লক্ষ লোক মুসলিম জনতার জমায়েত হয়েছিল৷সভায় যাবার পথেই শুরু হয়েছিল মুসলিম লিগের উদ্ধত কর্মীদের দাঙা৷সেদিন প্রত্যক্ষ সংগ্রামের প্রচার পত্রে লেখা হয়েছিল, “আশা ছেরোনা,তরোয়াল তুলে নও,ওহে কাফের তোমাদের ধ্বংসের দিন আর দুরে নয়৷”প্রচার পত্রে ছাপা হয়েছিল খোলা তরোবারি হাতে জিন্নার ছবি৷অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত বাঙালী অবাঙালী মুসলমান গুন্ডারা শুরু করলো প্রলয় কান্ড,কলকাতা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা গুলো দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকলো ইসলামের বিশ্বপ্রেমের গ্রাসে৷বাঙালী হিন্দুদের বাড়ী ঘর দোকান পাট জ্বলতে থাকলো,চলতে থাকলো লুটপাট৷ মুসলমান গুন্ডাদের নির্মম আত্যাচারের শিকার হলেন বাঙালী মা,বোনেরা৷লাঞ্ছিত নারীর কান্না,মৃত্যু ভয়ে আর্তচিৎকার, চাপা পরে গেল দুবৃত্তদের উন্মত্ত কোলাহলে৷ কলকাতার রাজপথে স্লোগান উঠলো,”কানপে বিড়ি মুপে পান,লড়কে লেঙ্গে পাকিস্বান,আল্লাহ আকবর৷” সব দেখেশুনে চুপ ছিলেন জওহরলাল নেহুরু,চুপ ছিলেন গান্ধীজী৷এই গন হত্যার বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেনি অহিংসার বুলি আউড়ানো ওই মানুষটি৷বামপন্থীদের ভূমিকা ছিল “ধরি মাছ ,না ছুই পানি৷” সে সময় অমৃত বাজার পত্রিকায় জ্যোতি বসুর বক্তব্য প্রকাশ পায় ,জ্যোতি বসু বলেন ,” মূলত আমাদের পার্টি চেষ্টা করবে রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার,তাই যেখানে প্রোয়জন আমরা বন্ধ সমর্থন করবো,আর যেখানে বন্ধ প্রয়োজন নয় সেখানে বিরধীতা করবো৷মানে কমিউনিস্টদের সিদ্ধান্ত মুসলিম এলাকায় বন্ধ আর হিন্দু এলাকায় বন্ধের বিরধীতা৷ গা-জোয়ারী করে দেওয়াল লিখনের চল শুরু হয়েছিল সেই বাম জামানায়,উদ্দেশ্য কম খরচে পাড়া প্রতিবেশীর দেওয়ালে রং লেপে সস্তায় দলীয় প্রচার করা৷ যা মূলত শহরকে নোংরা করারই সামিল৷ মনে পরে বাম জামানায় ভোটের মুখে মহম্মদ সেলিমের নামে দেওয়াল লেখার ক্ষেত্রেও ছিলো বামেদের সেই দুমুখো চালাকি৷,হিন্দু এলাকায় লেখা হতো “কমরেড সেলিম” আর মুসলিম এলাকায় লেখা হতো “মহম্মদ সেলিম”৷ যখন মুসলিম গুন্ডারা হত্যা লীলায় মেতে উঠেছিল,তখন ভয়ে দিশেহারা বাঙালী হিন্দুরা মার খেয়ে পিছু হাটতে বাধ্য হয়েছিল,৷ প্রতিরোধের কথা তারা সে সময় ভাবতেও পারেনি,কারণ সব দেখেও পুলিশ প্রশাসন ছিল নির্বিকার ৷ধর্ম নিরপেক্ষতার মেকি মুখোশ খসে পড়েছিল তখন সেকুলারিজমের দাবানলে৷ হিন্দু মুসলিম ভাই,ভাই ঢপবাজির আর সীমা নাই!এই গালভরা বোকা মন্ত্রটা ভেসে বেড়িয়ে ছিল কলকাতার বিষাক্ত বাতাসে৷ তার রূপ,রস,গন্ধ আজও টের পাইনি আমরা ৷ বোকা সম্ভন্ধে মজাদার কথাটি বলেছেন রুস সাহিত্যিক ইভান তুর্গেনেভ, লেখক বলেছেন “তুমি কাউকে কুড়িটি টাকা দিয়ে বলো যে সে বড্ড বোকা,সে মোটেই খুশি হবেনা, পাশাপাশি অপর একজনকে কিছু না দিয়ে বলো যে খুবই বুদ্ধিমান,সে বড়ই খুশি হবে৷” তাই অপরকে বোকা ঠাউরানো সবচেয়ে বড় বোকামি ৷ বোকা সম্বন্ধে মূল্যবান কথাটি বলেছেন নেলসন ম্যান্ডেলা, উনি বলেছেন, ” সত্য জেনে,সত্যটা দেখেও মিথ্যেকে বিশ্বাস করাকেই বোকামি বলে৷” প্রথম দুদিন মার খায় বাঙালী হিন্দুরা, একরকম আত্মসমর্পনের পথে বেছে নিয়েছিল৷ রাজপথে স্তুপাকার লাশ, মৃতদেহ,গঙ্গায় ভাসছিল ,এমনকি ল্যাম্পপোস্টে ও নাকি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল মৃতদেহ ৷ ভয় সম্বন্ধে মূল্যবান কথাটি বলেছেন
উইলিয়াম সেক্সপিয়র,উনি বলেছেন, ” মাত্রাতিরিক্ত ভয় না লড়তে শেখায়,না উড়তে শেখায়৷”
তৃতীয় দিনে ভয়কে জয় করে ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে আসেন নেতাজী সুভাষ বোসের ভক্ত শ্রী গোপাল মুখোপাধ্যায় ওরফে গোপাল পাঁঠা৷রাতারাতি শিখ, বিহারী ও বাঙালী যুবক নিয়ে প্রায় আটশো জনের বাহিনী গড়ে তোলেন ,পাল্টা মার মারতে শুরু করে মুসলিম গুন্ডাদের৷পুলিৎজার পুরস্কারে জয়ী আমেরিকান আবিস্কারক,লেখক ও সমাজকর্মী চার্লস লিন্ডবার্গ বলেছেন, “যার ডান হাতে সাহস আছে আর বাম হাতে বিশ্বাস আছে সে একা নয়৷” গোপাল পাঁঠার মন্ত্র ছিলো, “ওরা যদি একটা হিন্দু মারে তবে তোমরা দশটা মুসলমান মারবে৷ পাল্টা মর খেয়ে পিছু হাটতে বাধ্য হয় দুস্কৃতীরা৷ মুসলিম দাঙাকারীর দলে ছিল গ্রাম থেকে শহরে আসা শ্রমীক, কষাই, খালাসি শ্রেনীর মানুষেরা,আর দাঙায় অংশ নেওয়া হিন্দু জনতার মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল শিক্ষিত তরুন,ছাত্র সমাজ ও মধ্যবিত্ত পেশাজীবী সাহসী মানুষেরা৷কাগজের প্রথম পাতায় স্তুপাকার মৃতদেহের ছবি ছেপে,”দ্য গ্রেট ক্যালকাটা ক্লিনিং” নামটা দিয়েছিল সে সময়ের ইংরেজী খবরের কাগজ দ্য স্টেটম্যান৷কাগজের সম্পাদক সে সাহসটি দেখিয়ে ছিলেন বলেই আজ সোস্যাল মিডিয়ায় সেই স্তুপাকার মৃতদেহের ছবি সহ দ্য গ্রেট ক্যালকাটা ক্লিনিং”লেখা কাগজের পাতাটি খুজে পাওয়া যায়৷ গণমাধ্যম হলো সংবিধানের চতুর্থ স্তম্ভ৷কোথায় যেন পড়েছিলাম, “খবর সেটাই যা কেউ ছাপাতে চায় না,বাকি সব বিঞ্জাপন৷” বিশিষ্ট সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত এক সাখ্যাৎকারে বলেছিলেন, “আজকাল খবর চাপলে পয়সা পাওয়া যায়, ছাপলে পয়সা পাওয়া যায়না,উনি আরও বলেন যে,”বাংলার সাংবাদিকতার ঐতিহ্য পূর্ণ ইতিহাস আছে,ইমারজেন্সির সময় বরুন সেনগুপ্ত সহ বহু সাংবাদিক জেলে গেছে, আর আজ চৌর্য বৃত্তির জন্য বাংলার সাংবাদিকদের জেলে যেতে হয়৷রোমে গিয়ে হাততালি কুড়োয়, আর এদিকে রূপোর চামচ চুরির খবর ঘুরে বেড়ায় সোস্যাল মিডিয়ায়৷রাজ্যের একটি চিটফ্যান্ডের মূল পান্ডা অনুকুল মাইতি, তিনিই আবার সেরা বাঙালীর পুরস্কার পায়৷ভাবা যায় বাংলার কোনও এক সাংবাদিকের নাকি সারা দেশে ১৩টা ফ্লাট আছে!আসলে কাগজটা এদের সেকেন্ডারী,পাইমারী অন্য ধান্দা!” সংবাদ মাধ্যম কতো নিচে নামতে পারে তার জলন্ত উদাহরণ আনন্দ বাজার পত্রিক! “বাটপারের আবার ন্যাংটো হবার ভয় !” জানি ওরা এসব গায়ে মাখেনা৷কিন্তু ওদের খবর আমাদের শরীরে জ্বালা ধরিয়ে দেয় “যখন দেখি ২০১৭ ,আগষ্ট মাসে জন্মাষ্ঠমীর দিন আনন্দবাজার প্রথম পাতায় গরুর পশ্চাদ দেশে এক ব্যক্তির করোজোরে প্রণাম করার ছবি ছাপে৷আমি দীর্ঘদি যাবৎ মহারাষ্টে বসবাস করছি,কাজের ক্ষেত্রে বহুবার গুজরাট গেছি,আজও যাই, না আমি কখনোই কাউকে গরুর পেছনে লেজের গোড়ায় দাঁড়িয়ে প্রণাম করতে দেখিনি,আর জন্মাষ্টমির মতো পূন্যতিথিতে তো কিছুতেই নয়৷আসলে ছবিটি স্কিপেট, তৈরী করা ছবি৷ যাতে করে আমাদের মতো মানুষের শরীরে জ্বালা ধরানো যায়৷আনন্দবাজার ,এবিপি আনন্দ সম্বন্ধে বলতে গেলে একটা বই লেখা হয়ে যাবে৷সুধী পাঠক গণ আমি আনন্দবাজারের ক্রীড়া সাংবাদিকের একটি মহান কীর্তির কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি৷২০১৬ পরিকল্পিত
পাঠানকোট হামলার ঠিক পরদিন আনন্দবাজার পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য মহাশয় তড়িঘড়ি পাকিস্থানী ক্রীকেটার জাভেদ মিয়াঁঁদদের এক লম্বা ইন্টারভীউ নিয়ে ফেললেন ৷(ফোন মারফৎ)৷ সে সময় দেশজুরে পাকিস্থানের সাথে ক্রীকেট ম্যাচ বন্ধের রব উঠেছে ৷শীরনাম ছিলো ,”ওহে মোদি যুদ্ধ নয় ,শান্তির জন্য ক্রীকেট খেলাও ,- মিয়াঁঁদদ ৷” ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেট অতঙ্কবাদি দাউদ ইব্রাহীমের বেয়াই মশাই দেশের প্রধান মন্ত্রীকে কত যে গাল পারলেন ,কতো যে বোঝালেন “যাবতিও দোষ সব ভারতের ,শেষে তুই তুকারী করে সাংবাদিক মহাশয়ের মতে মত রেখে বললেন “দু দেশের মধ্যে ক্রীকেট ম্যাচই হলো শান্তি ফেরানোর একমাত্র রাস্তা “৷আমি সাংংবাদিক মহাশয়কে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে পাঠকের কলমে একটি পত্রটি লিখেছিলাম ,(যদি ও পত্রটি ছাপেনি)আমি লিখেছিলাম যে উনি ভালই করেছেন সাখ্যাৎকারে এ সকল প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন ,যেমন – মালালা ইউসুফ জাইকে কারা গুলি করেছিলো ?পাকিস্থানের মাটিতে শ্রীলঙ্কার ক্রীকেট টিমের বাসের উপর হামলা হয় কি করে?পেশোয়ারের স্কুলে ছাত্রদের উপর গুলি কারা চালিয়ে ছিলো?আর আবেডাবাদে কি সত্যই লাদেন লুকিয়ে ছিল ?
এ সকল প্রশ্ন শুনে পাছে মিয়াঁঁদ মশাই য়ের মাথা বিগড়ে যায় ,আর ক্রীকেট ম্যাচ ভন্ডুল হয়ে যায়! সাথে শান্তি ফেরাবার এমন মহান পরিকল্পনা বিফলে যায় ৷
সাথে আমি ওনাকে স্বরণ করিয়ে দি মোতি নন্দির কথা, কোনির কথা ,ক্ষিতদার কথা ৷ক্ষিতদার সেই অমূল্য কথাদুটি ,”স্পোর্টস ম্যান মানেই জেন্টাল ম্যান৷” আর নিজো ভাষায় ওনাকে বলেছিলাম “জাভেদ মিয়াঁঁদাদ আর যাই হোননা কেনো ?জেন্টালম্যান নন “৷তবে আমার পাতা উলটে কাগজ পড়া আর হলোনা ,ঠিক ইন্ডিয়া ,পাকিস্থান ক্রীকেট ম্যাচের মতোই ৷বিরক্তিতে ওই কাগজ পড়াটাই ছেড়ে দিয়েছিলাম৷
মনে পরে আমরা তখন যুবক ,ঢাকুরীয়া ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে ব্রিজের মাথার উপর বর্তমান পত্রিকার বড় হোডিংটার দিকে আঙুল তুলে বলতাম “ওই দেখ বরুণ সেনগুপ্তের বর্তমান, “যে কাগজ ভগবান ছাড়া কাউকে ভয় পায়না৷” এরপর বদলে গেল সরকার বদলে গেল পত্রিকার ধ্যানধারনা৷ আরও নিচ কাজটি করলো আজকাল পত্রিকা৷
২০১৯ ডিসেম্বরে রাজ্যে তিনটে উপনির্বাচন হয়, ফলাফল ছিল এই রূপ করিম পুর -সেখানে তৃণমুল পার্থী পেয়েছে ১,০২,৬৩৩(৫০.৪৩%) বিজেপি পার্থী পেয়েছে ৭৮.৫৬০( ৩৮.৭৫%)
আর কংগ্রেস সি মিএমের জোট পার্থী গোলাম রব্বি পেয়েছেন ৮.৪১৮(৯.০৯%)
কালিয়া গঞ্জে তৃণমূল পার্থী পেয়েছেন
৯৭.৪২৪(৪৪.৬৫%)
বিজেপি ৯৫.০১৪(৪৩.৫৪%)
বাম-কং পার্থী ১৮.৮৫৭(৮.৬৪%) জয়ের ব্যাবধান ২৪১৪৷
তিনটে উপনির্বাচনে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের জয় হয়েছিল ৷সে খুশিতে আজকাল পত্রিকা প্রথম পাতায় মমতা বন্দোপাধ্যয়ের হাসি মুখের ছবির সাথে লিখলো , “মমতা-৩,বিষ-০, গোহারা গোভক্তরা৷” বিষ বলতে বুঝলাম বিজেপি৷হে প্রিয় পাঠক ভাবুন একবার বাংলার গণমাধ্যমের নির্লজ্জ চাটুকারিতা কি পর্যায়ে পৌছেছে৷এযে বাঙালী তথা ভারতবাসীকে অপমান!যে দলটি একক সংগরিষ্ঠতায় ক্ষমতাসীন,,দেশের অধীক রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত সরকার চালাচ্ছে, সে দলটি বিষ!আমার গাত্রদহের যথেষ্ট কারণ ছিল,রেগে গিয়ে আমি খাতা কলম নিয়ে বসে পড়লাম৷ “খবর যখন গরল মাখা” কবিতাটি আমি যুগশঙ্খ পত্রিকায় পাঠাই বটে, কিন্তু ওনারা না ছাপার কারণে আমি মানভূম পত্রিকার সম্পাদক মহাশয়েকে কবিতাটি লেখার কারণ জানিয়ে কবিতাটি পাঠিয়ে দেই৷ কিছু দিনের মধ্যেই
প্রকাশিত হয় কবিতাটি৷সুধী পাঠক গণ আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন এতোক্ষন বলছিলাম তো ৪৬শের দাঙার কথা,গোপাল পাঁঠার কথা” তবে কেন কাগজের কেচ্ছা ও কবিতা৷হে প্রিয়পাঠক তবে আমি স্মরণ করবো স্বামী বিবেকান্দের সেই অমূল্য বানী৷
স্বামীজী বলেছেন, “অতীতের গর্বে ভবিষ্যতের জন্ম, যতোদুর পারো অতীতের দিকে তাকাও ” আর সে সাহসে এই দু-কথা ৷ সে খুশিতেই কবিতাটি আপনাদের সামনে রাখা৷
কবিতা-খবর যখন গরল মাখা৷
এযে ঘুন ধরেছে চার পায়াতে/
তুই আজ পচন ধরা স্তম্ভ ,/
তুই সংবিধানের চৌথ খুটি ?/
মিথ্যেরে তোর দম্ভ ৷/
খবর যে তোর গরল গাঁঁথায়/
বিষিয়ে দিলো বঙ্গ ,/
দুধ আর জহর মিলিয়ে দিয়ে /
দেখিস বুঝি রঙ্গ ?/
ঐ কাটা ছেড়া লাশ কাটা ঘর/
সত্য সেথাও হয়রে উদয় ,/
বনের রণে বনের পশু /
মরন যেনেও পায়না-রে ভয় ৷/
ঐ বেশ্যালয়ের বদ্ধ ঘরে /
পয়সা গুনেও হয়রে প্রণয় ৷/
আজ তোষামদির মুল্য গুণে
তুই সত্য হতে যোযন দূরে,/
নাক উচিয়ে দেখাস বুঝি /
ঐ ভাঁঙা পায়ায় পেড়েক ফুরে ৷/
তোর তাপ মাপা ঐ কাচের ঘরে/
তুই খেলনা বসে কাঁটাকুঁটি ,/
ধৈর্য্য মোদের আজও অটুট /
ভাঙবে যেদিন ধরবো টুঁটি ৷/
দেশ স্বাধীনের পর দেশের নেতারা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ইতিহাস বিকৃতি করেছে,দাঁড়িপাল্লার একপাশে কংগ্রেস আর একপাশে বামপন্থীরা ছিল সমান মাপে,আর তাদের সঙ্গ দিয়েছে ধামাধারী ইতিহাসবিদ আর তকমাধারী বুদ্ধিজীবীরা৷কিন্তু গণমাধ্যম চাইলে তাদের মতো করে সে সত্য উদঘাটিত করতে পারতো৷জনসমক্ষে আনতে পারতো চেপে রাখা ইতিহাস,আর যদি তা হতো ,তাহলে ভারতবর্ষের চিত্র আজ হয়তো ভিন্ন হতো৷হয়তো এনআরসি আইন তৈরী করার প্রয়োজন হতোনা,আর শাহিনবাগের ধর্নার বিরিয়ানীও খাওয়া হতোনা ৷ তিন তালাক বিল বিরধী ও বুদ্ধিজীবীদের গলার কাঁটা হয়ে বিঁধতো না!বেচারারা না পারছিল গিলতে,না পারছিলো উগড়াতে!এবং পূণঃরায় রাম মন্দির নব নির্মাণে দীর্ঘ আইনি লড়াই হতোনা ৷ সর্বপরি মগজ ধোলাইয়ের ঘোর বেশি দিন থাকতো না৷ আর কোনও অকর্মন্ন সরকার দীর্ঘদিন টিকতো না৷এন আর সির কথাই যখন উঠলো তখন নিজের অভিজ্ঞতার কথা একটু বলি,
২০১৯ ,১৩ই ডিসেম্বর ,সেদিনও ছিল জুম্মাবার৷পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন স্থানে নাগরীকত্ব সংশধনী বিল ও ক্যাব-এর বিরধীতায় মুসলিম জনতা ভয়াবহ আগুন জ্বালালো৷ বেলার দিকে সে দৃশ্য টিভি সংবাদে দেখবার পর তা আমার পরিবারের পক্ষে বিশেষ উদ্ববেগের কারণ হয়ে দাঁড়ালো ৷কারণ পরদিন
১৪ই ডিসেম্বর সন্ধার ট্রেনে আমার কলকাতায় রয়না দেবার কথা ৷ বিশেষ করে উলুবেড়িয়া খরগোপুর লাইনে কিছু ট্রেন বাতিলের খবরে নিজেও চিন্তিত হলাম ৷পরদিন খররের কাগজের প্রথম পাতা জুরে আগুন আর আগুন,দুফুরে টিভি সংবাদে চোখ গেরে বসে আছি ৷পরিস্থিতি বদলের আশায় ,দূর্ভাগ্য বশত এখানে আমরা দুটো ওই বিজ্ঞাপন মার্কা ঘন্টা মাপা বাংলা সংবাদ চ্যানেলই দেখতে পাই ৷তার একটিতে ১৪ তারিখ সন্ধায়, প্রাক্তন অভিনেতা আর বর্তমান আভিনেতার দীর্ঘ আলাপ আলোচনা৷অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আর তৃণমূল সংসদ দেব হেসে খেলে একঘন্টা কাটিয়ে দিল৷বুঝলাম বিপদের সময়েও এদের থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা
যাবেনা,খবরের চ্যানেল হয়েও এরা কবি,শিল্পী ,গায়ক,নায়ক,তবলা, সেতার নিয়ে বসে বেশ খানিকটা গুরত্ব পূর্ণ সময় কাটিয়ে দেয়,৷ এটি মগজ ধোলাইয়ের আরকটি রূপ৷এর মাঝেই স্ত্রীর চিন্তা বাড়িয়ে খবর হলো মাননীয়া মূখ্য মন্ত্রী গতকাল নিজেই ক্যাবের বিরধীতায় মিছিলে হাটবেন ৷সব দেখে শুনেও আমি রওনা দিলাম ৷ আমাদের ট্রেন যথা সময়ে নির্বিঘ্নে খরগোপুর, উলুবেড়িয়া পার হয়ে সকাল পাঁচটায় হাওড়ায় পৌছলো,ভোর সকালে পাথরবাজরা ঘুমোচ্ছিল নিশ্চয়ই ,তাই বিপদ হয়নি৷ কলকাতায় এন আর সির বিরুদ্ধে তৃণমূল আর সিপিএমের প্রচার ছিল নজর কারার মতো৷তৃণমূলের শঙ্খ ফুইয়ে, কা,কা ছি,ছি আর সিপিএমের দু-বেলা জনা তিরিশ জনের মিছিলে চলবেনা,চলবেনা ৷ পিছিয়ে ছিলনা খবরের কাগজগুলো , যখন কলকাতার পার্ক সার্কাস মোরে এন আর সির বিরুদ্ধে মুসলিম জনতা জরো হয়ে পথ অবরোধ করেছে, যখন মুসলিম জনতা শহীদ মিনারের সামনে জটলা করছে , এদিকে উত্তপ্ত ,মেটিয়াবুরুজ,মালদা, মুর্শিদাবাদ ৷
আগুনে পুড়ছে একের পর এক ট্রেন! নাঃ প্রিয় পাঠক, এমন ঘটনা দেশের আর কোথাও ঘটেনি,আমাদের ট্রেন চারটি রাজ্য পার হয়ে এসেছিল৷,১৭তারিখ আনন্দবাজর প্রথম পাতায় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টপাধ্যায়ে লুঙ্গি পরে বসা ছবি সহ ওনার স্যাক্ষাৎকার ছাপলো ৷আনন্দবাজারে টুপি,লুঙ্গি ধরে টানাটানির করে এই সাম্পদায়িক সম্পতি বজায় রাখার ঢপটা ওদের জন্মের প্রতুষ কাল থেকে৷গণশক্তি পত্রিকায় প্রথম পাতায় খবর হলো , “দেশ ভাঙছে বিজেপি, ঐক্য গড়বে ধর্মঘট “- মহম্মদ সেলিম৷
২০১৬র নভেম্বরে সিপিএমের ডাকা ধর্মঘট ব্যর্থ হয়েছিলো ,সে কথা দল মেনে নিয়েছিলো ,বিমান বসুর স্বীকারক্তি “ধর্মঘট ডাকা ভুল হয়েছিলো “৷ ভুল করে,ভুল বলে তারপর ভুল স্বীকার করাটাকে বামপন্থীরা ছেলে খেলায় পরিণত করে ফেলেছে ৷যুগশঙ্খ পত্রিকার প্রথম পাতায় খবর হলো “সি ভোটারের সমীক্ষায় ,৬২শতাংশ মানুষ নাগরীকত্ব আইনের পক্ষে, আর ৬৫.৪ শতাংশ এন আর সি চান”৷ যে খবরটি রাজ্য বাসীর সম্মুক্ষে একটি স্পস্ট ধারনা রাখতে সাহায্য করলো ৷সব থেকে অবাক হলাম একই ল্যাম্পপোস্টে সিপিএম, তৃণমূলের পতাকা দেখে৷”দুই পতাকার এই মহামিলন দেখে মুম্বাইতে ফিরে আবারও খাতা খুলে বসলাম৷”মগজ ধোলাই” মজার ছড়াটা মানভূম প্রত্রিকায় ছাপা হয়েছিল যা আপনাদের সামনে রাখছি৷
মগজ ধোলাই
খোয়াবী পোলাও পাঁকিয়ে ফেলো /
হাঁক পেরে যায় ভেকধরা ,/
মঞ্চটা তুমি নতুন গড়ো /
নাটক লিখো মনগড়া ৷/
ঘাটিও না সব কড়া পাঁকে /
মিস্টি রেখো জলভরা ,/
ছন্দ ,বন্ধ ,প্রবন্ধ হোক /
ভাষন লিখো গালভরা ৷/
ফেস্টুনেতে পোস্ট বেছোনা/
সাটিয়ে দিও গা ঘেষে ,/
একতাই বল আজ বুঝিলাম /
সব হারিয়ে বেলা শেষে ৷/
রংয়েতে আর কি এসে যায়/
হোকনা লাল, সাদা নীল /
ভীরের মাঝে কে আর দেখে ,/
উদোর পিঠে বুদোর কিল৷/
দেখো যদি আবার পারো/
হাঁফ ছেরোনা পা গুণে ,/
লক্ষ্য করো মগজটাকেই /
দুষ্টমির ঐ জাল বুনে ৷/
প্রিয় পাঠক ৪৬র দাঙার পর পশ্চিম বঙ্গে অনেক ছোট বড় ঘটে যাওয়া দাঙার ঘটনার কথা আমাদের জানতে দেওয়া হয়নি৷ আর সে দায় কিছুটা হলেও বাংলার মিডিয়া হাউসের৷রাজ্য সরকারের ন্যায় বাংলার মিডিয়া হাউসও খেলায়,মেলায় ভুলিয়ে রেখার চেষ্টায় ছিল ৷পাশাপাশি রাজ্যের শিল্পী ,কবি সাহ্যিতিকদের ভূমিকা ছিল পক্ষপাতমূলক ও একপার্শ্বিক৷বুদ্ধীজীবীদের প্রতিটি প্রতিবাদ মূলত ছিল উদ্দেশ্য প্রণদিত৷বাংলার কলঙ্ক লুকোতে ভিন রাজ্যের দিকে তর্জনী তুলে যে কোনও মূলে আর এস এস সহ হিন্দু সংগঠনগুলোকে ছোট করে রাজ্য সরকারের দেওয়া সুবিধা ভোগ করা৷ ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হওয়া পাকিস্থান ও বাংলাদেশ আজ হিন্দু শুন্যের পথে৷বর্তমানে শিক্ষিত সমাজের অধিকাংশই পূর্ববঙ্গের মানুষ,দেশ ভাগের সময় বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা লেখক কবিরা কখনোই উগ্র ইসলামিক শক্তির সম্বন্ধে একটি কথাও লেখেননি,কলম ধরেননি মূর্তি ভাঙা,মন্দির ভাঙা ও ধর্মান্তরিত করা,সাথে হিন্দুদের প্রতি মুসলিম নির্যাতনের কথা লিখে৷কারণ তারা মুসলীম পাঠক হারাতে চাননি,পড়তে চাননি মৌলবাদী দুস্কৃতি ও রাজ্য সরকারের রোষানলে ৷ বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলীমা নাসরীন বলেছেন, “সব লেখকরা ধান্দাবাজ,আর সেটা সুনিলের ক্ষেতে আর বেশি সত্য৷”আমি যদি জীবনের গল্প লিখি ,তবে কাউকে খুশি করবার জন্য সেন্সর করবো কেন? আমিতো আর সুনিল গঙ্গোপাধ্যায় নয় যে কাটছাট করে আর্ধেক জীবনী লিখবো ৷” ভারত বর্ষে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথেই প্রতিবেশী দেশদুটৌতে হিন্দু নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে সে বিষয় সন্দেহ নেই৷ আমি এর প্রতিবাদে যুগশঙ্খ পত্রিকায় ছোটখাটো কিছু প্রতিবেদন ,ও একটি কবিতা “আহ্বান” লিখেছিলাম৷আহ্বান কবিতাটি মানভূম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়,কবিতাটি লিখে আমি বড়ই তৃপ্তি পেয়েছি, পাঠকেরও মনে ধরেছিল কবিতাটি,তাই সে খুশিতেই আপনাদের সামনে রাখা৷
অহ্বান
নাড়ির টানে পরাণ টানে,তাই সাধ জাগেনা
বিচ্যুতির,/
আজও সহন করি রক্ত চক্ষু,প্রশ্ন শত ভ্রুকুটির৷/
দোরের গোড়ে হাঁক পেরে যায়,সনাতনী ছিন্ন করার,/
জমি জমার মূল্য কি আর,যখন নাচন দেখি উগ্রতার৷/
স্বরন করায় এপার ওপার,ঐ সীমানা ঐ দেখো পার,/
দখলদারীর দর হেঁকে যায়,ঐ কৃপাণ হাতে
দখলদার৷/
পদ্মা চরের কাঁদা মাটি,মন ভোলানো মেঘনা রূপ,/
বাইচ টেনেছি ডিঙি নৌকায়,সেইতো ছিলো মোর সরূপ৷/
মুন্সিগঞ্জে রইলো কোথায়!লেখক কবি,চিত্রকর,/
এই মাটি ছুয়ে সেই যে গেল মহান অতিস দিপঙ্কর৷/
দাস,বোস,গুহ,চক্কত্তিরা আর দেখেনা এপারে,/
তারা জ্ঞানগম্যি সহায় করে মন দিয়েছে
ব্যাপারে৷/
আলিঙ্গনে বাঁচায় কে আজ,কে আজ ধরে হাতদুটি,/
বঙ্গ আমার জননী আমার, তুই শুধরে দিস মা এই ত্রুটি৷/
মাগো চিত্ত আজও ভয় শুন্য,আর উচ্চ কোথায় শির?/
এই রক্ত ঝরা কসাই খানায়, মা তোর মন্ত্র বড়ই ধির৷/
আজ দল বেধেছি আটচালাতে,
দেবোত্তরের অঙ্গিকারে,/
ত্রী নয়ন খুলে দেখনারে মা,তাকিয়ে মোরা তোর দোরে৷/
আয়না মা তুই স্বর্গ ছেড়ে ,তোর ভয়াল কালো মূর্তি ধরে/
আয় বাছা আয় দেখনা ডেকে,থাকবো না
আর আঁচল আঁড়ে৷/
জন্ম দে মা নব তরুন রণাঙ্গনটা যাক না ভরে,/
তুই খড়গ হাতে নিত্য কর মা,তোর
ছিন্নমস্তা রূপটি ধরে৷/
এই ভাগ বসানো ভাগের খেলায় বঙ্গ যে যায় রসাতলে,/
তুই কলির দুষ্টু নিধন করে,আবার মুন্ডুমালা পড়না গলে!/ ৷
বাংলার জ্ঞানী,গুণি,বুদ্ধীজীবীরা যে কি পরিমান সুবিধে বাদী তার জলন্ত উদাহরণ
নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন৷যিনি কথায় কথায় ছুটে এসে মরা কান্না কেদে উগরে দেন তার একপেশা জ্ঞানের ভান্ডার৷ কিছুদিন আগে যুগশঙ্খ পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়৷ চাইলে বাংলার যে কোনও কাগজ খবরটি করতে পারতো৷
” তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই,২০০৫)মাধ্যমে জানা হলো ভারতরত্ন বিজয়ী অমর্ত্য সেন চার বছরে একুশ বার বিনামূল্যে বিমান ভ্রমন করেছেন৷ভারতরত্ন পুরস্কার বিজয়ীদের বিনামূল্যে আকাশ যাত্রার সুবিধে এয়ার ইন্ডিয়া দিয়ে থাকে ২০০৩ সাল থেকে৷এ পর্যন্ত দেশে সর্ব্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন মোট ৪৮জন৷এদের মধ্যে জীবিত আছেন ,অমর্ত্য সেন সহ চারজন,শচীন তেন্ডুলকর,লতা মঙ্গেশকরও সিএন রাও৷ভারতরত্ন প্রাপকদের মধ্যে একমাত্র অমর্ত্য সেনই বিনামূল্যে বিমান যাতায়াতের সুবিধা নিয়েছেন৷বাকি ৪৭জন সে সুবিধে নেননি কখনো৷ এবার আসি ৪৬র দাঙার কথায়,দাঙায় খুন,হত্যার বিভৎসতা দেখে স্টেসম্যান পত্রিকার বৃটিশ সাংবাদিক কিম ক্রিস্টেন লিখেছিলেন , “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিঙ্গতায় আমার স্নায়ু যথেষ্ঠ শক্ত হয়ে গিয়েছে,কিন্তু যুদ্ধেও এতো পৈশাচিক নয়,এ এক মধ্যযুগীয় বর্বর উন্মাদনা৷” জ্যোতি বসু পরবর্তি কালে তার লেখা একটি বইতে ৪৬র কলকাতার দাঙার কথা বলতে গিয়ে লিখেছিলেন, “প্রথম তিন দিনে প্রায় ২০হাজার লোক নিহত হয়েছিল৷” শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি হোসেন সুরাবর্দিকে বলেছিলেন , গুন্ডার সর্দার৷” একটি মজার ঘটনা হলো , ১৬ই আগষ্ট হিন্দু-সংহতির মিছিলে গোপাল মুখার্জি লাল সেলাম স্লোগান উঠতেও শোনা গিয়েছিল৷গোপাল মুখার্জির জন্ম ১৯১৩সালে,মৃত্যু, ২০০৫সালে৷কলকাতার বউবাজারের মলঙ্গা লেনের একটি বাঙালী পরিবারে জন্ম৷কলকাতার কলেজ স্টিটে পরিবারে একটি পাঁঠার মাংসের দোকান ছিল৷যুবক অবস্থায় তিনি মাংসের দোকানের দায়িত্ব গ্রহন করেন”জীবনের শেষ কালে ন্যাশানাল রিলিফ সেন্টার ফর ডেসটিটিউটস নামে একটি দাতব্য সংস্থা গড়ে তোলেন৷২০১৪ সালে হিন্দু সংহতি গোপাল পাঁঠার শতবর্ষ পালন করেন৷প্রিয় পাঠক পশ্চিম বঙ্গের মাটিতে আজও হিন্দু নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে,বাংলার গণমাধ্যম এমন ঘটনা চেপে রাখাটাকেই তাদের ধর্ম বলে মেনে নিয়েছে, আর কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা কাকতালীয় বলে চালিয়ে দিচ্ছে৷লেখার শেষে এমনই একটি কাকতালীয় ঘটনার কথা বলি, ২০২০ এর ১১ই সেপ্টেম্বর চন্দন নগরে মহরমের মিছিল,সেই মিছিল থেকে তলোয়ার ছিটকে এসে লাগলো চন্দন নগর থানার এস আই রাজিব পালের মাথায়,পুলিশ অফিসারটির মাথায় আটটি সেলাই পরে৷এই খবরটি কোনও টিভি চ্যানেল দেখায়নি,কারণ এটি কাকতালীয় ঘটনা৷এমনটা যদি রাম নবমীর শোভাযাত্রা থেকে হতো?তাহলে গেল ,গেল বর তুলে মরা কান্নায় ভাসিয়ে দিত বাংলার গণমাধ্যম আর ওই তকমাধারীরা ৷রাজ্যে এমন কাকতালীয় ঘটনা অনেক ঘটেছে ,আগেও ঘটবে,শ্রী গোপাল মুখার্জি বারবার আসবে না,আমাদের এক একজনকে গোপাল পাঁঠা হয়ে উঠতে হবে ৷স্বামী বিবেকান্দ বলেছেন ” যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে আর যদি না করতে চাও তাহলে অজুহাত পাবে ৷” সব শেষে বলবো, ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে ,ধর্মে মহান হবে,কর্মে মহান হবে,নব দিনমনি উদিবে আবার পুরাতন এ পুরবে৷”
তথ্য সূত্র-
যুগশঙ্খ পত্রিকা
মানভূম পত্রিকা
আনন্দবাজার পত্রিকা
ইন্টারনেট